সমন দেয়া সত্ত্বেও সাক্ষ্য দিতে আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় ঝালকাঠি সদর থানার এক সময়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) টিপু লাল দাসকে সাত দিনের কারাদণ্ড

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
ফাইল ছবি

সমন দেয়া সত্ত্বেও সাক্ষ্য দিতে আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় ঝালকাঠি সদর থানার এক সময়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) টিপু লাল দাসকে সাত দিনের কারাদণ্ড এবং ২৫০ টাকা জরিমানা করেছে আদালত।

বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর হাকিম শেখ মো. তোফায়েল হাসান এ রায় দেন।

টিপু লাল দাস বর্তমানে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানার এসআই হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবী এম আলম খান বলেন, ২০১৩ সালের ৪ নভেম্বর বিকালে ঝালকাঠি সদর থানার পোনাবালিয়া উপজেলার ভাওতিতা গ্রামে নাসিমা আক্তার নামে এক গৃহবধূ স্বামীর বাড়িতে অস্বাভাবিকভাবে মারা যান। তার লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন করেন ঝালকাঠি সদর থানার তৎকালীন এসআই টিপু লাল দাস। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়। ওই বছরের ১১ নভেম্বর নাসিমার ভাই আলম হোসেন বাদী হয়ে স্বামী রফিক মল্লিক ও দেবর সুলতান মল্লিককে আসামি করে ঝালকাঠি আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন। সেই হত্যা মামলাটি ঝালকাঠি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতে বিচারাধীন।

এ মামলায় উপপরিদর্শক টিপু লাল দাস লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন করায় আদালতের হাকিম একাধিকবার সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপারের মাধ্যমে সাক্ষী দিতে আদালতে হাজির হতে সমন প্রদান করেন। আদালতের হাকিম গত ১৬ অক্টোবর এসআই টিপু লাল দাসকে আদালতে স্ব-শরীরে হাজির হয়ে কারণদর্শাতে তার সর্বশেষ কর্মস্থল পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী থানায় পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপারের মাধ্যমে নোটিশ প্রদান করেন। কিন্তু মঙ্গলবার মামলার ধার্য তারিখে উপপরিদর্শক টিপু লাল দাস আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচারক এ রায় দেন।

এ বিষয়ে এসআই টিপু লাল দাস বলেন, ‘আমি গত বছরের ২৬ মার্চ পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী থানা থেকে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানায় বদলি হয়ে আসি। এ মামলার সমনের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। অন্য মামলায় সাক্ষী দিতে আমি ঝালকাঠি আদালতে একাধিকবার গিয়েছি।’

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.