নাটোরের লালপুরে জুম্মার নামাজের সময় চেয়ারম্যান কে পেটালেন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক

নাটোর প্রতিনিধিঃ-

নাটোরের লালপুরে জুম্মার নামাজে নামাজ পড়তে গিয়ে চেয়ারম্যান কে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ওসমান গনি’র (৪৫) বিরুদ্ধে। সে নাটোর জেলার লালপুর উপজেলাধীন ১০ নং কদিমচিলান ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া চিলান গ্রামের আখের আলীর পুত্র । মসজিদের পুকুরে গভীর রাতে মাছ মারাকে কেন্দ্র করে নামাজের সময় এ ঘটনা ঘটে। মসজিদে উপস্থিত মুসল্লি ও গ্রাম বাসীর কাছে জানতে চাইলে, তারা জানান- বর্তমান মসজিদ কমিটির কার্য্যক্রম সব কিছুই চলছে অনিয়মে। গ্রামের কেউ এই বিষয়ে প্রতিবাদ করলে কমিটির সভাপতিসহ তার ভাগ্নে ওসমান তার বাহীনি নিয়ে তাকে মারধরসহ সম্মান হানিমূলক কাজ করে । যার কারনে ভয়ে কেউ মুখ খোলে না, এই সব অনিয়মের কারনে ২১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির কোষাধক্য আজিজুর রহমান (৪৫) মাষ্টার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। কিছুদিন পরে মসজিদের পুকুর হতে রাত্রী ১টার সময় মাছ মেরে নিয়ে যায় মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আফছার আলী(৫৩)। এসকল দূনীর্তি ও অনিয়মের কারণে অত্র কমিটির সহ-সভাপতি আঃ সোবাহান(৬৫) নিজেও পদত্যাগ করেন। সহ-সভাপতি পদত্যাগের কারনে সভাপতির ছোট ভাই তাকে জনসম্মুখে অপমান করেন। মসজিদ নিয়ে এই অপ রাজনীতির কারনে গ্রামবাসী খুব্ধ এবং শংকিত। কমিটির বাঁকী সদস্যদের মধ্যে ওয়াজেদ আলী(৪৮)সহ আরো ১৪ জন লিখিত ভাবে পদত্যাগ করেন ও মৌখিক ভাবে পদত্যাগ করেন বলে জানা যায়। ২১ সদস্য কমিটির ১৭ জন সদস্য পদত্যাগ করায় এবং আল্লাহর ঘর মসজিদ সুষ্ঠভাবে পরিচালনার লক্ষে গ্রামবাসী আবার নতুন করে (৫) পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি তৈরীর জন্য মসজিদের মধ্যে আলোচনা শুরু করলে তাতে বাধা দেয় অত্র ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি। মসজিদের মধ্যে চেয়ারম্যান ও তার ছেলে শাহিনকে উপস্থিত সবার সামনে কিল ঘুশি মারতে থাকে ওসমান, তার ভাই আফছার সহ কয়েকজন। চেয়ারম্যান কে পেটানোর পরে পুলিশকে মিথ্যা সংবাদ দিয়ে বিভান্ত্র সৃষ্টি করে ওসমান। পুলিশকে জানায় তাদের একজনকে চেয়ারম্যান এর লোকজন আটকে রেখেছে। খবর পেয়ে ওয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ি থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে কোন আলামত বা সত্যতা না পেয়ে ফিরে আসে। এই বিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান আঃ রাজ্জাক বলেন- ওসমানের আচরনে অতিষ্ট হয়ে আমি তাহার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছি। এবিষয়ে গ্রামের প্রধান আলহাজ¦ আবু হানিফ , আলহাজ¦ আঃ সালাম ,আঃ কুদ্দুছ, আলাউদ্দিন ও প্রধান আবু তালেবসহ গ্রামরে প্রবীনরা বলেন মসজিদে এসে জুম্মার দিনে মারামারি করা এটা কোন মুসলিম এর কাজ না সে একটা মুনাফেক। আমরা এটা কোন ভাবেই কামনা করিনা। এই বিষয়ে তার শাস্তি হওয়া দরকার। এ বিষয়ে (৫)পাঁচ নং ওয়ার্ড সদস্য রেজাউল মেম্বর জানান- দলীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করে সে গ্রামের মানুষের সম্মান ক্ষুন্ন করে তাকে আইনের আওতায় আনা উচিত। অত্র বিষয়ে চেয়ারম্যান ওসমানের বিরুদ্ধে লালপুর থানায় একটি মামলা করেছে।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.