কেন্দ্রীয় কারাগারে সম্রাট

নিজস্ব প্রতিবেদক

ক্যাসিনোকাণ্ডে আটক যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাটকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়েছে র‌্যাব। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ড পাওয়ায় রবিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যায় র‌্যাব।

সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা হবে। এছাড়া প্রমাণ পেলে মানিলন্ডারিং আইনেও মামলা হবে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

রবিবার বিকালে সম্রাটের কাকরাইল কার্যালয়ে চার ঘণ্টার বেশি সময় অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় সম্রাটকেও এখানে আনা হয়। অভিযান শেষে সন্ধ্যার পর তাকে নিয়ে কেন্দ্রীয় কারাগারের দিকে রওয়ানা করে র‌্যাব।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান ঢাকা টাইমসকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

রবিবার বিকালে কাকরাইলে সম্রাটের অফিসে প্রায় চার ঘণ্টা অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযান শেষে রাতে সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে ব্রিফিং করেন সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক সারওয়ার বিন কাশেম। এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

অভিযানে সম্রাটের অফিস থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি মাগজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, ১১৬০ পিস ইয়াবা, ১৯ বোতল বিদেশি মদ, দুটি বন্যপ্রাণীর চামড়া, ইলেক্ট্রিক শক দেয়ার দুটি মেশিন উদ্ধার করা হয়।

সম্রাটের অফিস থেকে ক্যাঙ্গারুর দুটি চামড়া উদ্ধার করায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া তার অফিস থেকে মাদক উদ্ধারা করা হয়েছে। এর জন্য মাদক আইনে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হবে। এছাড়া অস্ত্র পাওয়া যাওয়ায় আরেকটি মামলা হবে। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সেখানে মানিলন্ডারিংয়ের তথ্য পেলে তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের মামলাও হবে বলে জানান র‌্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট।

রবিবার ভোররাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে র‌্যাব আটক করে সম্রাট এবং তার সহযোগী আরমানকে। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকেই তাকে খুঁজছিল বলে জানায় র‌্যাব। এর আগে গ্রেপ্তার বিভিন্নজনকে জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাটের কথা জানতে পারে বলে জানায় সংস্থাটি।

সম্রাট ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। গ্রেপ্তারের পরপর তাকে এবং আরমানকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.