ইউনিসেফের সম্মাননা পেলেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘চ্যাম্পিয়ন অব স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর ইয়ূথ’ সম্মাননা দিয়েছে ইউনিসেফ। এ নিয়ে জাতিসংঘের চলতি অধিবেশনে যোগ দিয়ে দুটি পুরস্কার পেলেন বাংলাদেশের সরকারপ্রধান।

বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে ইউনিসেফ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে সম্মাননা তুলে দেন জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েত্তা ফোর।

সম্মাননা পাওয়ার পর শেখ হাসিনা ইউনিসেফের দেওয়া সম্মানজনক পুরস্কারটি দেশবাসী এবং বাংলাদেশ ও সারাবিশ্বের শিশুদের উৎসর্গ করেন। এছাড়া ইউনিসেফের দেওয়া এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করবে বলে মন্তব্য করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই সম্মানটা আমার একার না। সম্মানটা বাংলাদেশের। কারণ বাংলাদেশের জনগণ ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেছেন বলে তাদের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। আর এই সুযোগটা পেয়েছি বলেই আজকে এই সম্মানটা পেয়েছি।’

বাংলাদেশের শিক্ষার হার বাড়াতে ইউনিসেফের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তরুণদের উপযুক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে আত্মকর্মসংস্থানে উপযোগী করে গড়ে তুলতে সরকার দেশব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। ইউনিসেফ বাংলাদেশে শিক্ষার হার বাড়াতে এবং তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।’ এসব ক্ষেত্রে সহযোগিতা অব্যাহত রাখায় ইউনিসেফকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের সরকারপ্রধান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় বলি শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না। এটা জাতির পিতা সবসময় বলতেন। এই লক্ষ্য নিয়ে আমাদের শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছি। কওমি মাদ্রাসাকে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে অন্তর্ভূক্ত করতে পেরেছি। আমরা সবাইকে এক জায়গায় করতে পেরেছি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আমরা শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করেছি।

বিনামূল্যে বই বিতরণ কর্মসূচি, উপবৃত্তি প্রদান ও স্কুল ফিডিং কার্যক্রমের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে দেশে শতভাগ শিশু স্কুলে ভর্তি হচ্ছে।

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এক সন্ধ্যা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে আরও  বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েত্তা ফোর ও ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত এবং ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান প্রমুখ।

এর আগে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচির সাফল্যের জন্য ২৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীকে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।

জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে এ পুরস্কার দেয় গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাক্সিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.