- সন্ত্রাসী কতৃর্ক হামলায় ভাংচুরের প্রতিবাদে সংবাদ ধনবাড়ীতে সংবাদ সম্মেল - November 11, 2024
- আওনা ইউনিয়নে প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবেমিনারা বেগম এর দায়িত্ব গ্রহণ - November 11, 2024
- ঠাকুরগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল জগদ্ধাত্রী পূজা - November 11, 2024
সুনামগঞ্জে তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। সাংবাদিকরা বলছেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের হয়রানি করার চেষ্টা করছে চোরাচালানি সিন্ডিকেট। চোরাচালানের সংবাদ প্রকাশের জের ধরে বাগলী কয়লা ও চুনাপাথর আমদানিকারক সমিতির নির্দেশে এ মামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সাংবাদিকরা। মামলার বাদীরাও সাংবাদিকদের চেনেন না বলে সাংবাদিকদের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
জানা গেছে, ছয় মাস আগে জেলার তাহিরপুর উপজেলার বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের বাগলী শুল্কস্টেশন সংলগ্ন এলাকা দিয়ে চোরাচালান সিন্ডিকেডের সদস্যরা বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও সাংবাদিকদের নাম ভাঙিয়ে মোটা অংকের চাঁদা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত অবৈধভাবে ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ কয়লা ও চুনাপাথর আনছিলেন। এতে সরকারের লাখ লাখ টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ সিন্ডিকেট দলের নেতা রংগাছড়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে মোস্তাফা মিয়া মস্তো, মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে আলী হোসেন, বীরেন্দ্রনগর গ্রামের মৃত কুরবান আলী ছেলে মনিরুজ্জামান মনির, ইমান আলীর ছেলে আকবর হোসেন ও মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে খালেক মোশারফ। তারা কয়লা ও চুনাপাথর পাচার করে ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই করে নেত্রকোনার কমলাকান্দা, কিশোরগঞ্জ, ছাতক, তাহিরপুরের আনোয়ারপুরসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠান। আর এই চোরাচালান নিয়ে জাতীয় ও সিলেট বিভাগীয় দৈনিক ও আনলাইনসহ সুনামগঞ্জ থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এরপরই সংশ্লিষ্ট প্রশাসন তৎপর হলে বাগলী সীমান্তের চোরাচালান বন্ধ হয়ে যায়। চোরাকারবারিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে গত ২৪ জুন দৈনিক সংবাদ ও দৈনিক সিলেটের দিনকাল পত্রিকার তাহিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি কামাল হোসেন রাফি, দৈনিক ঢাকাটাইমস ও দৈনিক বিজয়ের কণ্ঠ পত্রিকার সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া ও তার বড়ভাই ক্রাইম ওয়াচ, দৈনিক আলোকিত সকালের সাংবাদিক ও চলচ্চিত্রের সহকারী পরিচালক মডেল মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়ার (মশাল) বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চাঁদাবাজির মামলা করা হয়। এর বাদী চোরাকারবারে জড়িত আকবর হোসেন এক ব্যক্তি। আর মামলার সাক্ষী হয়েছেন চোরাকারবারে জড়িত ব্যক্তিরাই। মামলার সাক্ষীরা ওই তিন সাংবাদিককে চেনেন না বলে গণমাধ্যমকর্মীদের জেরায় স্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে চোরাচালানে জড়িত থাকায় অভিযুক্ত খালেক মোশারফ বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের কারণে আমাদেরই সদস্য আকবরকে বাদী করে তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেছি।
মামলার বাদী আকবর হোসেনের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনিও স্বীকারোক্তি দেন। বলেন, আমি সাংবাদিকদের চিনি না। যা করেছি সমিতির নির্দেশে করেছি।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক, চলচ্চিত্র সহকারী পরিচালক ও মডেল মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া (মশাল) বলেন, মামলায় যে তারিখ ও সময় উল্লেখ করা হয়েছে সেই সময় আমি ঢাকা ছিলাম। তার প্রমাণ আমার কাছে আছে। চাঁদাবাজির প্রশ্নই আসে না। এই মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, তিন সাংবাদিককে আমি ভালোভাবে চিনি। অতএব আমি কোনো মিথ্যার আশ্রয় নেব না। তদন্ত প্রতিবেদনে তিনি সঠিক তথ্যই দেবেন বলে জানান।