প্রাতিষ্ঠানিক সনদ ছাড়াই সর্বরোগের ভূয়া চিকিৎসক আকরাম হোসেন

0

সেলিম রেজা, স্টাফ রির্পোটার বগুড়া অফিস ঃ বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বুক চিরে বয়ে গেছে করোতয়া নদী। করোতয়া নদীর র্পূব র্পাশ্বে ফুলবাড়ি ঘাটপার এলাকায় সততা ফার্মেসীতে শাজাহানপুর উপজেলার ডেমাজানি নামক গ্রামে বসবাসরত পল্লী চিকিৎসক আকরাম হোসেন নিজেকে চক্ষু বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচয় দিয়ে হাজার হাজার অসহায় দুস্থ রোগীদের ঠকিয়ে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে আসছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আকরাম হোসেন আসলেই মূলত পল্লী চিকিৎসকের স্বল্প মেয়াদী সনদ নিয়ে তার সততা ফার্মেসীতে দীর্ঘদিন যাবৎ চক্ষু বিশেষজ্ঞ হিসেবে এবং পুরুষ ও মহিলাদের যৌন চিকিৎসায় প্রতিনিয়ত রোগী দেখছেন। আর এভাবেই গ্রামের সহজ-সরল অসুস্থ মানুষদের ঠকিয়েই অল্প দিনের মধ্যেই গড়ে তুলেছেন টাকার পাহাড়। চিকিৎসক আকরাম হোসেনের সম্বন্ধে অনুসন্ধানে জানা যায়, বিগত ১৬-১৮ বছর আগে সে ছিল একজন স্বল্প শিক্ষিত বেকার যুবক। পরবর্তীতে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য মালয়েশিয়াতেও শ্রমিক হিসেবে কিছুদিন কর্মরত ছিল। এরপর মালয়েশিয়া হতে দেশে ফিরেই কাজের সন্ধানে ঘুরে বেড়ায় শেরপুর শহর সহ বিভিন্ন জায়গায়। অবশেষে কোন কাজ না পেয়ে শেরপুর ডাক বাংলা চক্ষু হাসপাতালের পাশেই ঔষধের ব্যবসা শুরু করে। এভাবেই চলে কিছু দিন। চক্ষু হাসপাতালের পাশে তার ঔষধের দোকান হওয়ার সুবাদে দু’একজন চক্ষু ডাক্তারের সাথে তার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। আর এই সুযোগেই চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন অনুসরণ করেই তিনি নিজেকে চক্ষু বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতেই চক্ষু হাসপাতালের পাশ থেকে তার ঔষধের দোকান ফুলবাড়ী ঘাটপাড়ে ভাড়া দোকানে স্থানান্তরিত করে তার সততা ফার্মেসী। এরপর আর পিছু তাকাতে হয় নাই চক্ষু বিশেষজ্ঞ রুপে পরিচিত ভূয়া চিকিৎসক আকরাম হোসেনকে। অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই ফুলবাড়ী ঘাটপাড়ে রাস্তার পাশেই জায়গা ক্রয় করে গড়ে তোলেন তিন তলা বিশিষ্ট সততা ফার্মেসী। উক্ত ফার্মেসীতেই সবসময় সর্বপ্রকার ঔষধ সহ মানুষের সকল প্রকার জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা করে অবৈধ ভাবে অর্থ উপার্জন করে যাচ্ছে ভূয়া চিকিৎসক আকরাম হোসেন। আকরাম হোসেনের চিকিৎসক হিসেবে নেই কোন প্রাতিষ্ঠানিক সনদ। আর তাই যেকোন সময় ঝরে যেতে পারে মানুষের মহামূল্যবান জীবন।

এ বিষয়ে বগুড়ার সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ শামির হোসেন মিশুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটা একটি শাস্তি যোগ্য অপরাধ, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ প্রসঙ্গে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ লিয়াকত আলী সেখ এর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রমাণ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave A Reply