মতলব উত্তরের দশানী আল-আমিন বোরহানুল উলূম দাখিল মাদরাসা ২৭ বছরেও এমপিওভুক্ত হয়নি

0

মনিরুল ইসলাম মনির

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ‘দশানী আল-আমিন বোরহানুল উলূম দাখিল মাদরাসা’ ২৭ বছরেও এমপিও ভুক্ত না হওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছে শিক্ষক কর্মচারীরা। এমপিওভুক্ত করার দাবী জানিয়েছেন শিক্ষক, কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।

ইসলামী দ্বীনি শিক্ষার পাশাপাশি নারী শিক্ষার প্রসারে এলাকার দানশীল ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি বর্গের সহযোগীতায় ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে ওঠে। ইবতেদায়ী, জেডিসি ও দাখিল পরীক্ষা দিয়ে আসছে শিক্ষার্থীরা। মাদরাসায় সরকারী ভাবে কোন একাডেমিক ভবন নির্মাণ হয়ন এখনো। টিনের ঘরে চলে শিক্ষা কার্যক্রম। শিক্ষার মান ও ফলাফল ভাল। সকল শর্ত পূরণ করার পরও এমপিও না হওয়ায় শিক্ষক কর্মচারীরা হতাশায় ভুগছে। দীর্ঘদিন বিনা বেতনে চাকরি করে ধৈর্য্য হারিয়ে অনেক শিক্ষক-কর্মচারী এই প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে গেছেন। কয়েক জন শিক্ষকের চাকরি শেষের পথে। তবুও তারা আশায় বুক বেঁধে আছে হয়তো একদিন এমপিও হবে।

মাদরাসায় ৬শ’ ৪৯জন ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়নরত রয়েছে। ১৪জন শিক্ষক ও ৩ জন কর্মচারী দিয়ে চলছে একাডেমিক কার্যক্রম।

মাদরাসায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের মানবেতন জীবন যাপন দেখে মাদরাসা এমপিওভুক্ত করার দাবি জানান।

শিক্ষকরা বলেন, আমাদেরও সন্তান সংসার রয়েছে। আশায় আশায় দীর্ঘদির মাদরাসায় শিক্ষকতা করছি। এমপিওভুক্ত হলে আর্থিক দৈন্যদশা লাঘব হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি আমাদের কথা বিবেচনা করে মাদরাসাটি এমপিও ভুক্ত করবে এমনটাই আশা করছি।

সুপারিন্টেনডেন্ট মাওলানা হাবিব উল্লাহ সরকার বলেন, এখান থেকে পাস করে অনেক ছাত্র-ছাত্রী চাকরি করছে বেতনও পাচ্ছে। অথচ আমরা বেতন পাচ্ছিনা। সরকার অন্যখাতে অর্থ বরাদ্দ দিলেও এমপিও’র জন্য তেমন অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়না। সারাদেশে প্রায় ৭ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সোয়া লাখ শিক্ষক কর্মচারী এমপিও ভুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। শিক্ষকদের অভুক্ত রেখে সরকারের ভিশন টোয়েন্টি-টোয়েন্টি ওয়ান বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়বে।

 

 

Leave A Reply