আওয়ামীলীগ কখনো রাজনৈতিক দল ভাঙ্গাগড়ার খেলায় বিশ্বাসী না, এ অভ্যাস বিএনপির আছে : কুষ্টিয়ায় মাহবুবউল আলম হানিফ
- সন্ত্রাসী কতৃর্ক হামলায় ভাংচুরের প্রতিবাদে সংবাদ ধনবাড়ীতে সংবাদ সম্মেল - November 11, 2024
- আওনা ইউনিয়নে প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবেমিনারা বেগম এর দায়িত্ব গ্রহণ - November 11, 2024
- ঠাকুরগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল জগদ্ধাত্রী পূজা - November 11, 2024
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
“সরকার ঐক্যফ্রন্টকে ভাঙার চেষ্টা করছে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে” আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কখনো রাজনৈতিক দল ভাঙ্গাগড়ার খেলায় বিশ্বাসী না, এ অভ্যাস বিএনপির আছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানই এদেশে রাজনিতির এই নোংরা খেলা শুরু করেছিল। সে ক্ষমতা দখল করেই সব দলকে ভেঙ্গে নিজের দল তৈরী করেছিল।
হানিফ বলেন, ঐক্যফ্রন্টের মতো জনবিচ্ছিন্ন একটি দলকে নিয়ে আমাদের কোন ভাবনা নেই। পুনরায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন দাবী প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, আগামী নির্বাচন পাঁচ বছর পরেই হবে। এ ধরনের দাবী তুলে বিএনপি নেতাদের কোন লাভ হবেনা।
আজ সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত ১২ দিন ব্যাপী নানা অনুষ্ঠান মালার উদ্বোধন করে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হানিফ এসব কথা বলেন।
এসময় এফ আর টাওয়ারের অগ্নিকান্ড সম্পর্কে হানিফ বলেন, ভবনটি নিয়ম মেনে তৈরী করা হয়নি, তাই এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অথচ এই ন্যাক্কারজনক অপরাধের সাথে জড়িতদের পক্ষ নিয়ে মির্জা ফখরুলরা যে বক্তব্য দিচ্ছেন তা আইনের শাসনের পরিপন্থি। আগুনের ঘটনাগুলো শুধুই দূর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোন ষড়যন্ত্র আছে কি না তা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায়না।
হানিফ বলেন, ঢাকাকে নিরাপদ বাসযোগ্য করা হবে, এ জন্য ঝুকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে তা ঝুকিমুক্ত করার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে কোন রাজনীতি থাকবে না।
এর আগে পৌরসভার দেড়শ’ বছর পূর্তিতে শহরে একটি আনন্দ র্যালী বের হয়। র্যালীতে গ্রামীন নানা চিত্র তুলে ধরা হয়।
পরে কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হানিফ। এসময় কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন, পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী রবিউল ইসলামসহ আওয়ামীলগের নেতাকর্মী ও পৌরসভা কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সূধিজনরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে গ্রামীন মেলাসহ ১২ দিন ব্যাপী নানা অনুষ্ঠান মালার জন্য পৌরসভাকে নান্দনিক সাজে সাজানো হয়েছে।