- গোসল করতে গিয়ে নদীতে ডুবে এক বৃদ্ধ’র মৃত্যু - November 14, 2024
- একজন সৎ সাহসী ও মানবিক লেডি পুলিশ অফিসারের জীবন কালের গল্প - November 14, 2024
- ফরিদগঞ্জে চোরাইকৃত অটোরিক্সা ও সিএনজি স্কুটারসহ চার চোর গ্রেফতার - November 14, 2024
সামসুজ্জামান সুমন,কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি ॥ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের বৈদপাড়ায় খড়ের গাদা থেকে লাগা আগুনে ৮পরিবারের সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, সোমবার বিকালে বৈদপাড়া গ্রামের কেতাব উদ্দিনের ছেলে ওমর ফারুকের খড়ের গাদায় হঠাৎ করে আগুন দেখে এলাকাবাসী চিৎকার শুরু করে। তাৎক্ষণিক ভাবে টেপারহাটে থাকা লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনে খবর দেয়া হয়। খরব পেয়ে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। এতে প্রায় ১৩ পরিবারের ২০লক্ষাধিক টাকার মালামাল পূড়ে ছাই হয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের মধ্যে ওই এলাকার জহুরুল হক,আদম আলী,শুকারু মামুদ,নূর হোসেন,আব্দুল কাদের মোকলেছার রহমান,শরিফুল ইসলাম,জাহিদুল ইসলাম,মিলন মিয়া, মোকতাজুল ইসলাম,শফিউল ইসলাম ও এজাজুল হকের বাড়ীর সর্বস্ব পূড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনে পুড়ে যাওয়া পরিবার গুলোর মানুষ সমস্ত হারিয়ে ফেলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। অনেকেই বাড়ীর বিছানা থেকে শুরু করে সব হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য সুরুজ খাঁন বলেন, আগুনে পূড়ে যাওয়া ১৩পরিবার একেবারেই নিঃস্ব হয়ে গেছে। খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম আজাদ ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার তাৎক্ষণিক ভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের লোকজনের খবর নিয়ে প্রত্যেক পরিবারের মধ্যে ৩০ কেজি চাল ও ২টি করে কম্বল দেয়া হয়। এ দিকে আগুনে পূড়ে যাওয়া ঘটনার খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা জাতীয়পার্টির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী রশিদুল ইসলাম ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের মাঝে শুকনা খাবার ও কম্বল বিতরণ করেন এবং ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের লোকজনকে সমবেদনা জানিয়ে শান্তনা দেন। কিছুক্ষণ পরেই উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ঠিকাদার রশিদুল ইসলাম রশিদ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শিল্পী রানী রায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবারের মাঝে শুকনা খাবারসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদী দিয়ে সকলকে শান্তনা দিয়ে ফিরে আসে।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন অফিসার রেদওয়ানুজ্জামান বলেন,প্রত্যেক পরিবারের সর্বস্ব পূড়ে ছাই হয়ে গেছে।
গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মারুফ হোসেন অন্তিক বলেন,আমরা তাৎক্ষণিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ্য পরিবার গুলোতে শুকনা খাবার দিয়েছি। সময় মত যা প্রয়োজন তা সরবরাহ করা হবে।